ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যেই ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ–৩’-এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০তম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের সর্বশেষ ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ‘খাইবার’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
কিছুক্ষণ আগে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের জারি করা একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে প্রথমবারের মতো ‘খাইবার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে।
ইরনার খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও এসফাহানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এই অভিযানটি চালানো হয়।
‘খাইবার’ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যবহার
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ((আইআরজিসি) জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রতিশোধমূলক অপারেশনের এই ধাপে ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে, যা সফলভাবে লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানে।
তেল আবিবের সুনির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোকে ক্দ্রে করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আগে থেকেই সতর্ক করেছিল যে, ইসরাইলের অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে কোনও নিরাপদ স্থান থাকবে না।
রোববার সকালে ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছ, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তেল আবিব, হাইফাসহ বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে। ইরানের আজকের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিব এবং হাইফার বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরে যায় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সর্বশেষ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি। আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ফোর্থ জেনারেশন।
২০০০ কিলোমিটার পাল্লার খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভারী ওয়ারহেডগুলোর একটি। তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলের বাইরে গতি ও লক্ষ্য নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা রয়েছে। এটি উড়ন্ত অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করতে পারে, যা একে আরও মারাত্মক ও নির্ভুল করে তোলে।
এম এইচ/
Discussion about this post