দুই-তিন স্তরের মধ্যস্বত্বভোগীর হস্তক্ষেপের কারণেই অভিবাসন ব্যয় অধিক হারে বেড়ে যায়। অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীরা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অভিবাসন ব্যয় কমাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এ ব্যাপারে সকলের নজরদারি বাড়াতে হবে। তাহলেই নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সবাইকে প্রতিনিয়ত নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানের পাশাপাশি শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরিতে কাজ করতে।
দক্ষ কর্মী তৈরি হলেই আমরা প্রতিনিয়ত দক্ষতার শ্রমবাজার ধরতে পারব। এতে আমাদের দেশের রেমিট্যান্সের হারও বৃদ্ধি পাবে।’
মতবিনিময়সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ, নিয়মিত ও দায়িত্বশীল অভিবাসন। এ ক্ষেত্রে সবাইকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সাথে কাজ করতে হবে। প্রবাসী কর্মীদের সামগ্রিক সুরক্ষায় সকল অংশীজনের দায়িত্বশীল ভূমিকা খুবই জরুরি।’
মতবিনিময়সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন ও বায়রার মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
Discussion about this post