আফ্রিকা মহাদেশে চীন ও রাশিয়া জোটের কাছে আধিপত্য হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এরই মধ্যে অনেক দেশ থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে হয়েছে পশ্চিমাদের। এর সঙ্গে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন দেয়ায় আফ্রিকার অনেক দেশ আমেরিকার প্রতি ক্ষুব্ধ। তবে বিশাল এই মহাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত এবং রুশ-চীনা প্রভাব কমাতে তোড়জোড় শুরু করেছে ওয়াশিংটন। আফ্রিকাকে খুশি করতে জাতিসংঘকে সংস্কারের প্রস্তাব দেবে দেশটি।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, জাতিসংঘকে সংস্কার করে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদের দুটি স্থায়ী আসন এবং ছোট ছোট উন্নয়নশীল দ্বীপ দেশগুলোর জন্য আরেকটি রুটিন আসনের প্রস্তাব করবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এই ঘোষণা দেবেন।
থমাস গ্রিনফিল্ড রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা এই এজেন্ডাটিকে এমনভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে যাতে আমরা ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার অর্জন করতে পারি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট। এদের মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন এই পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ হলো—চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
বাকি ১০টি অস্থায়ী আসন আঞ্চলিকভাবে ভাগ করে বরাদ্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য তিনটি; এশিয়া-প্যাসিফিক, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় এবং পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের জন্য দুটি করে এবং পূর্ব ইউরোপের জন্য একটি বরাদ্দ দেয়া।
তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসনের দাবি করে আসছে। কিন্তু সংস্কারের বিষয়ে বছরের পর বছর আলোচনা হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এতে সমর্থন দিলেও তা শেষ পর্যন্ত সফল হবে কিনা, স্পষ্ট নয়।
এ ইউ/
Discussion about this post