আমি নির্বাচিত না হলে রক্তগঙ্গা বইবে, ভেঙে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও মুখোমুখি হবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই দিনকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন’ বলে অবিহিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘এ নির্বাচনে আমি হারলে রক্তগঙ্গা বইবে, ভেঙে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র।’
ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যে শনিবার (১৬ মার্চ) একটি নির্বাচনী সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি শিল্পের ঝুঁকি নিয়ে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি। তবে এ বক্তব্য দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন, সেটি পরিষ্কার নয়।
রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করার একদিন পরেই ‘রক্তবন্যা’ বয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। ওহাইয়োর ভেন্ডালিয়ায় এক জনসভায় চীন মেক্সিকোতে গাড়ি উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হই তারা এই গাড়ি (যুক্তরাষ্ট্রে) বিক্রি করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমি যদি নির্বাচিত না হই এখানে রক্তবন্যা বয়ে যাবে, কিছু না হলেও এটা ঘটবে। (আর যদি নির্বাচিত হই) তারা (চীনারা) গাড়ি বিক্রি করতে পারবে না।
ট্রাম্পের বেফাঁস মন্তব্যের পর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তার মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট। তিনি জানান, জো বাইডেনের নীতি আমেরিকায় অর্থনৈতিক দিক থেকে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প তাই বলতে চেয়েছেন।
তবে ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বাইডেন। ট্রাম্পের এসব মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রচার শিবির থেকে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতিহিংসাপরায়ণতা, হিংসার প্রতি আগ্রহ এবং চরমপন্থী আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করা হয়েছে।
বাইডেনের মুখপাত্র একটি সভায় বলেন, ‘এটাই ট্রাম্পের আসল রূপ। তিনি ৭০ লাখের বেশি ভোটে হেরে যাওয়ার পর ভুল শুধরে নেওয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক হিংসার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেন।’
সেখানে রিপাবলিকান এ নেতাকে ২০২০ সালের নির্বাচনে একজন ‘পরাজিত ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, সেই সময় রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে তিনি তার হুমকি দ্বিগুণ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে ট্রাম্প ও বাইডেন দুজনই চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রাথমিক বাছাইয়ে (প্রাইমারি ও ককাস) নিজ নিজ দলের যথেষ্টসংখ্যক নিবন্ধিত ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। এ অবস্থায় এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে এ দুজনই চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন ও মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
টিবি/
Discussion about this post