ভোগান্তি এড়াতে, সঠিক সময়ে ছুটি না পেয়ে ও পরিবহন না পাওয়াসহ নানাবিধ কারণে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি অনেকে। তাই পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ঈদুল আজহার দিন ঢাকা ছাড়ছেন সকাল থেকে।
সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বাস কাউন্টারগুলো খোলা রয়েছে, যাত্রীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
সিরাজগঞ্জের নাহিদ ও সাদিয়া দম্পতি বাস খুঁজছিলেন। জনপ্রতি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। কিন্তু এই দম্পতি ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিরাজগঞ্জে যেতে চান। তাদের দেড় বছর বয়সী একটা বাচ্চাও আছে। মূলত বাচ্চা নিয়ে স্বস্তিতে ঢাকা ছাড়তেই ঈদের দিন বেছে নিয়েছেন।
সাদিয়া বলেন, আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। ঈদের একদিন আগে ছুটি পেয়েছি। কিন্তু ছোট বাচ্চার কারণে ঈদের আগে যাইনি। আমরা পথে অপেক্ষা করতে পারবো কিন্তু ছোট বাচ্চা কষ্ট সইতে পারবে না। আবার বাসা থেকে মা বলে- বাড়ি আয়, তোকে ছাড়া ঈদের দিন ভালো লাগে না। এই জন্য বাড়ি যাচ্ছি ঈদের দিন।
ঈদের যাত্রীও ভালো হচ্ছে বলে দাবি কাউন্টার মাস্টারদের। শ্যামলী বাস কাউন্টার মাস্টার স্বপন চন্দ্র দাস বলেন, যারা ছুটি পাননি ঈদের আগে, পথের ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে চান তারা আজ বাড়ি যাচ্ছেন। বাস নিয়মিত ছাড়ছে, যাত্রী চাহিদাও ভালো।
রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের টিকিট কেটেছেন আসাদ, সঙ্গে বৃদ্ধ মা ও সন্তান আছেন। আসাদ বলেন, ঈদের আগে টিকিট পেয়েছিলাম কিন্তু রাস্তায় অনেক জটলা থাকে। বৃদ্ধ মাকে নিয়ে জটলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই ঝামেলা এড়াতে আজ বাড়িতে যাচ্ছি। এখন কিন্তু রাস্তা ফাঁকা থাকে।’
গোপালগঞ্জ সদরের বাসিন্দা সুমন মাহমুদ, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগে যেতে পারেননি। সঙ্গে ছোট একটা বাচ্চাও আছে। তাই ঝামেলা এড়িয়ে স্বস্তিতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঈদের দিনকে বেছে নিয়েছেন সুমন। এই জন্য ঢাকা-গোপালগঞ্জগামী কমফোর্ট লাইনে সপরিবারে বাড়িতে যাচ্ছেন।
তবে ঈদের দিন সবাই স্বস্তি নিয়ে বাড়ি যেতে পারছেন। কারণ একদিকে যেমন মিলছে কাঙ্ক্ষিত টিকিট অন্যদিকে সড়কেও নেই কোনো জটলা।
সুত্রঃ জাগো নিউজ
এ এ/
Discussion about this post