‘নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ’ থিমে এবারের বাংলা নববর্ষ উদযাপনে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন হচ্ছে এক ব্যতিক্রমধর্মী ড্রোন শো ও কনসার্ট। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর আকাশে আজ দেখা যাবে নজরকাড়া এ ড্রোন শো। চীনা দূতাবাসের সৌজন্যে আয়োজিত এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। এদিন বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া কনসার্ট ও সন্ধ্যা ৭টার ড্রোন শো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আয়োজিত ড্রোন শো ও কনসার্টে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক জানান, পুলিশের পাশাপাশি র্যাব নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। কনসার্ট ও ড্রোন শোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।
এদিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের সামনে মহড়ায় প্রথমবারের মতো আকাশে ভেসে ওঠে ড্রোনচিত্র ও রঙিন লেজার রশ্মি। এ শোতে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালকে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন প্রতিকৃতির মাধ্যমে। উঠে আসে ‘২৪-এর বীর’, পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের শুভেচ্ছা বার্তা।
শোয়ের মহড়ায় উপস্থিত জনতা মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আন্দোলনকারী আবু সাঈদ, পানির বোতল হাতে প্রতীকী মুগ্ধতা, আর ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো বার্তা। এছাড়া জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রতিবাদও শোতে স্থান পেয়েছে প্রতীকীভাবে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এ ড্রোন শো কেবল বিনোদনের নয়, বরং এটি বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গণআন্দোলন, মানবিক বিপর্যয় এবং আশা-ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।
এদিকে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী হ্যালো ঢাকা, প্রস্তুত হও— ‘নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ’ থিমে এক অসাধারণ ড্রোন শো উপভোগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকাবাসীকে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এ আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ঢাকাবাসীর উদ্দেশে ফারুকী লিখেছেন, ড্রোন শোয়ের আগে দর্শকদের জন্য থাকছে মনোমুগ্ধকর এক কনসার্ট। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আগামী ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের দিন বিকেল ৩টায় পুরো আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা লিখেছেন, এ আয়োজনটি ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ সহযোগিতার জন্য চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, বন্ধু-পরিবারসহ সবাইকে আমন্ত্রণ— চলে আসুন, একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই।
এ ইউ/
Discussion about this post