রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি   🕒
➔ English
➔ Arabic
No Result
View All Result
প্রবাস খবর
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
    • প্রবাস অর্থনীতি
    • প্রবাস রাজনীতি
    • প্রবাস দূতাবাস
    • প্রবাস জীবন-যাপন
    • প্রবাস সফলতা
    • প্রবাস জীবনের গল্প
    • প্রবাস কমিউনিটি
    • প্রবাস খেলা
    • প্রবাস বিনোদন
    • প্রবাস সাহিত্য
    • প্রবাস ইতিহাস ও ঐতিহ্য
    • প্রবাস সাক্ষাৎকার
    • প্রবাস শিক্ষা
    • প্রবাস ভ্রমন
    • প্রবাস কণ্ঠ
    • প্রবাস হেল্প কর্নার
    • প্রবাস আলোকচিত্র
    • প্রবাস ভাষা
    • ভিডিও সংবাদ
    • প্রবাস ফোরাম
    • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
    • প্রবাসে চাকরি
    • প্রবাস বিশেষ
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ
প্রবাস খবর
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
    • প্রবাস অর্থনীতি
    • প্রবাস রাজনীতি
    • প্রবাস দূতাবাস
    • প্রবাস জীবন-যাপন
    • প্রবাস সফলতা
    • প্রবাস জীবনের গল্প
    • প্রবাস কমিউনিটি
    • প্রবাস খেলা
    • প্রবাস বিনোদন
    • প্রবাস সাহিত্য
    • প্রবাস ইতিহাস ও ঐতিহ্য
    • প্রবাস সাক্ষাৎকার
    • প্রবাস শিক্ষা
    • প্রবাস ভ্রমন
    • প্রবাস কণ্ঠ
    • প্রবাস হেল্প কর্নার
    • প্রবাস আলোকচিত্র
    • প্রবাস ভাষা
    • ভিডিও সংবাদ
    • প্রবাস ফোরাম
    • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
    • প্রবাসে চাকরি
    • প্রবাস বিশেষ
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ
No Result
View All Result
প্রবাস খবর
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ

কেমন ছিল গাদ্দাফির রাজ্য, কীভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে

মেহেদী হাসান মেহেদী হাসান
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
বিভাগ - আফ্রিকা
0 0
A A
কেমন ছিল গাদ্দাফির রাজ্য, কীভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে
Share on FacebookShare on Twitter

নিজ দেশের অনেক প্রজার কাছে তিনি ছিলেন ভালোবাসার রাজা। আর পশ্চিমাদের চোখে ছিলেন একনায়ক। ৪২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর টলে যায় মসনদ। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট বিরোধী একটি গোষ্ঠীর হাতে আটক হন তিনি। ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর হত্যা করা হয় তাঁকে। বলছি, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কথা।

গাদ্দাফি আরব বিশ্ব ও আফ্রিকায় ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। আর স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমাদের চক্ষুশূল। ১৯৬৯ সালে সামরিক এক অভ্যুত্থানে লিবিয়ার মসনদে বসেন তিনি। লিবিয়ার রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন গাদ্দাফি।

তখন লিবিয়ার বাদশাহ ছিলেন সাইয়্যিদ মুহাম্মদ ইদ্রিস বিন মুহাম্মদ আল মাহদি। গাদ্দাফির নেতৃত্বে সামরিক দলের অভ্যুত্থানে ইদ্রিসের পতন হয়।

গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনামলে তাঁকে ঘিরে রয়েছে সমালোচনা, ভালোবাসা, আক্ষেপ, ঘৃণা। কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়, কেমন ছিল তাঁর শাসনব্যবস্থা, গাদ্দাফির পতন ঘটিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব কী চেয়েছিল, লিবিয়া কী পেল—এমন অনেক প্রশ্ন রয়েছে আজও। কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলেছে, কিছু মেলেনি। এসব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে ফিরে যাওয়া যাক গাদ্দাফি যুগে।

গাদ্দাফি ছিলেন সুদর্শন ও ক্যারিশম্যাটিক তরুণ এক সেনা কর্মকর্তা। মিসরের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসেরের ভক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সাল থেকে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান নেন। ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে অভ্যুত্থান ঘটান। ওই সময় বাদশাহ ইদ্রিস তুরস্কে ছিলেন।

রাষ্ট্রক্ষমতা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বাদশাহর ভাইপো যুবরাজ সাইদ হাসান অর রিদা আল মাহদি। এই সুযোগই কাজে লাগান গাদ্দাফি। রিদা আল মাহদিকে গৃহবন্দী করে ক্ষমতা দখল করেন গাদ্দাফি। এভাবে তাঁর নেতৃত্বে লিবিয়া রাজতন্ত্রমুক্ত হয়। নাসেরের ভক্ত গাদ্দাফি অভ্যুত্থানের পর নিজেকে ক্যাপ্টেন থেকে কর্নেল পদে উন্নীত করেন।

কেমন ছিল গাদ্দাফির শাসন
গাদ্দাফির শাসনের চার দশকে লিবিয়াবাসী কি সুখী ছিল? এর উত্তরে আসে নানা মত। স্বৈরশাসক গাদ্দাফির বিরুদ্ধে দমন-পীড়নসহ অভিযোগের পাল্লা কম ভারী ছিল না। তবে এ কথাও সত্যি, তাঁর আমলে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ছিল। আফ্রিকা তো বটেই, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের কাছে লিবিয়া ছিল লোভনীয় কর্মক্ষেত্র। দেশটিতে গিয়ে তাঁরা বিপুল অর্থ আয় করেছেন। জীবনমানের উন্নয়ন করেছেন। অনেকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে এসেছেন।

গাদ্দাফি দেশের তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলেন। তাঁর সময়ে লিবিয়া অনেক বেশি তেলসমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়। প্রায় ৫০ হাজার সৈন্য লিবিয়ার ১১টি সীমান্ত এলাকাকে ৪টি জোনে ভাগ করে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। তিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় দেশকে অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত করার কাজ করেছিলেন।

দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেলেও গাদ্দাফি ছিলেন একনায়ক। ৪২ বছরের শাসনে দিন দিন হয়ে উঠেছিলেন স্বৈরশাসক। ‘জনগণ লিবিয়া পরিচালনা করে,’ এমন স্লোগান দিলেও গাদ্দাফির সময়ে জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। বিরোধী মতকে দমনপীড়ন করতেন তিনি। কয়েক দশকের শাসনামলে শত শত নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে। ত্রিপোলির প্রাসাদে অনেক নারীকে আটকে রাখতেন তিনি। আর গাদ্দাফির নানা সব খেয়ালি ইচ্ছা পূরণে সাহায্যকারী কর্মকর্তারা দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে যেতেন।

অভিযোগ আছে, গাদ্দাফি অনেক বিচারকাজ করেছেন প্রকাশ্যে ও গোপনে। হত্যা করেছেন অনেক মানুষ। ১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবিতে প্যানঅ্যাম এয়ারলাইনসের একটি জাম্বো জেট বিমানে বোমা হামলায় ২৭০ জন নিহতের ঘটনায় গাদ্দাফির জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত হন লিবীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা। বহু বছর ধরে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। ফলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয় লিবিয়াকে। পরে অবশ্য ১৯৯৯ সালে লকারবি বিমান হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন দুজনকে হস্তান্তর করে গাদ্দাফি প্রশাসন।

গাদ্দাফির শাসনের চার দশকে লিবিয়াবাসী কি সুখী ছিল? এর উত্তরে আসে নানা মত। স্বৈরশাসক গাদ্দাফির বিরুদ্ধে দমন-পীড়নসহ অভিযোগের পাল্লা কম ভারী ছিল না। তবে এ কথাও সত্যি, তাঁর আমলে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ছিল।
পশ্চিমাদের সঙ্গে বিরোধ
শুরু থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের চক্ষুশূল ছিলেন গাদ্দাফি। তিনি চাইতেন আরব আধিপত্য। ১৯৭২ সালে ফেডারেশন অব আরব রিপাবলিকস গঠনের মাধ্যমে আরব দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এ উদ্যোগ সফল হয়নি। আউজো উপত্যকা নিয়ে প্রতিবেশী দেশ চাদের সঙ্গে সত্তর দশকে যুদ্ধে জড়ায় লিবিয়া। গাদ্দাফি সব সময়ই ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিলেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর রোষের শিকার হন তিনি।

আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে আফ্রিকান দেশগুলোর সম্মেলনে গাদ্দাফি
আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে আফ্রিকান দেশগুলোর সম্মেলনে গাদ্দাফিফাইল ছবি: এএফপি
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান গাদ্দাফিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের পাগলা কুকুর’ বলতেন। ১৯৮২ সালের মার্চে লিবিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। লিবিয়ার তেলশিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০০৪ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হয়। এ সময়ে লিবিয়ার ওপর থেকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

২০০৯ সালে গাদ্দাফি আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আফ্রিকার দেশের স্বার্থ নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে গাদ্দাফির ঝাঁজালো বক্তব্য, নীতিমালার অনুলিপি ছিঁড়ে ফেলা পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্কে আবারও অবনতি ঘটায়। এসবেরই প্রভাব পড়তে থাকে গাদ্দাফির নিজের সাম্রাজ্যে।

২০১০ সালের শুরুর দিকে বিশ্ব আন্দোলিত হয় আরব বসন্তের ঢেউয়ে। পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিউনিসিয়া, মিসরের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলে। তিউনিসিয়ায় জাইন আল-আবিদিন বেন আলী ও মিসরে হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হন। এ সময়েই বেনগাজি শহরে ছড়িয়ে পড়ে গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দমনে গাদ্দাফি বেছে নেন সহিংস উপায়। গোলাবারুদ, যুদ্ধবিমান দিয়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেন। গাদ্দাফি সরকারের অনেক মন্ত্রী এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেন।

বিক্ষোভ যত জোরালো হতে থাকে, পদত্যাগ করার জন্য গাদ্দাফির ওপর পশ্চিমাদের চাপ তত বাড়তে থাকে। গাদ্দাফি ও তাঁর বাহিনীও প্রতিরোধ শুরু করে। গৃহযুদ্ধ বাধার পরপরই জাতিসংঘ গাদ্দাফিবিরোধী ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলকে (এনটিসি) সমর্থন দেওয়া শুরু করে। ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশ এতে মদদ জোগায়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনে এনটিসি লিবিয়ায় আক্রমণ শুরু করে।

এভাবে এনটিসিই হয়ে ওঠে লিবিয়ার অঘোষিত সরকার। ২০১১ সালের আগস্টে বিদ্রোহী বাহিনী ত্রিপোলিতে ঢুকে পড়ে। শহরের বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। ২৩ আগস্ট তারা ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির সদর দপ্তর আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ড দখল করে। শুরু হয় গাদ্দাফির খোঁজ। গাদ্দাফি বাহিনীও প্রতিরোধ চালাতে থাকে।

রাজধানী ত্রিপোলির পতনের পর, সিয়ার্ত শহরে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী শেষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই শহরেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় গাদ্দাফিকে। গাদ্দাফিকে হত্যার বর্ণনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে এসেছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ ও সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও এটা বলা যায়, ২০ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহর থেকে তিন-চার কিলোমিটার পশ্চিমে ফ্রান্সের কয়েকটি বিমান গাদ্দাফির গাড়িবহরের ওপর হামলা চালায়।

ওই সময় বিদ্রোহী সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের বিমান হামলায় গাড়িবহরের অন্তত ১৫টি সশস্ত্র পিকআপ ট্রাক বিধ্বস্ত হয়। গাদ্দাফিসহ কয়েকজন বড় একটি পাইপের ভেতরে আশ্রয় নেন। বিদ্রোহীরা কামানের গোলা ছোড়ে। পাইপের ভেতর থেকে গাদ্দাফি বের হয়ে আসার পর গুলি ছোড়া শুরু হয়।

আল–জাজিরা সে সময় এক ভিডিওতে দেখায়, রক্তাক্ত গাদ্দাফিকে বিদ্রোহীরা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরে এনটিসির প্রধান মাহমুদ জিবরিল সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্রোহী ও গাদ্দাফি বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গাদ্দাফি নিহত হন। আল-জাজিরার আরেকটি ভিডিওতে কর্নেল গাদ্দাফির মরদেহ মাটিতে টেনে নিতে দেখা যায়। এমনও বলা হয়, একসময়ের লৌহমানব গাদ্দাফির মরদেহ সেখানকার একটি বিপণিবিতানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

গাদ্দাফির পতন তো হলো। পশ্চিমাদের চাওয়াও পূর্ণ হয়েছিল। তবে গাদ্দাফিকে হত্যার পর এক দশকেও লিবিয়ায় কাঙ্ক্ষিত শান্তি ও গণতন্ত্র ফেরেনি। বরং বেড়ে যায় অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা। লিবিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতি এখন অনেকটাই বেহাল।
কেমন ছিল গাদ্দাফিবিহীন লিবিয়া
গাদ্দাফির পতন তো হলো। পশ্চিমাদের চাওয়াও পূর্ণ হয়েছিল। তবে গাদ্দাফিকে হত্যার পর এক দশকেও লিবিয়ায় কাঙ্ক্ষিত শান্তি ও গণতন্ত্র ফেরেনি। বরং বেড়ে যায় অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা। লিবিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতি এখন অনেকটাই বেহাল।

গাদ্দাফি-পরবর্তী এক দশকে ক্ষমতার কেন্দ্রে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। ধ্বংস করেছে অবকাঠামো। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ার অর্থনীতি ধীরে ধীরে পতনের দিকে গেছে। পশ্চিমাদের মোহভঙ্গের পর লিবিয়ায় শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ। অবশেষে ২০২০ সালের অক্টোবরে সফলতা মেলে। অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত থামে, খুলে যায় শান্তি আলোচনার পথ।

গাদ্দাফিকে হত্যার এক দশক পরে এসেও লিবিয়ার অনেক মানুষ গাদ্দাফি ও তাঁর শাসনামলের কথা মনে রেখেছেন।
জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০২১ সালে লিবিয়ায় গঠন করা হয় ঐক্যের সরকার। ২০২১ সালে লিবিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হন মোহাম্মদ ইউনুস আল-মেনফি।

গাদ্দাফিকে হত্যার এক দশক পরে এসেও লিবিয়ার অনেক মানুষ গাদ্দাফি ও তাঁর শাসনামলের কথা মনে রেখেছেন। দেশটির বনি ওয়ালিদ শহরের প্রবেশমুখে তাঁর একটি বিশাল প্রতিকৃতি রয়েছে। সেখানকার ওয়ারফারা সম্প্রদায়ের মানুষ গাদ্দাফি ও তাঁর পরিবারকে মনে রেখেছেন। ২০২১ সালে প্রকাশিত এএফপির এক খবরে সেখানকার বাসিন্দা মোহাম্মদ দাইরিকে বলতে শোনা যায়, ‘গাদ্দাফি আমাদের হৃদয়ে রয়েছেন। আমরা সব সময় তাঁর দেখানো পথেই চলব।’

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

এম এইচ/ 

ShareTweet
Previous Post

জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট সেই ঊর্মি

Next Post

৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩৪৮৭

Related Posts

বুরকিনা ফাসোর সেনাশাসক ইব্রাহিম যেভাবে বিশ্বের মানুষের হৃদয় জিতলেন
আফ্রিকা

বুরকিনা ফাসোর সেনাশাসক ইব্রাহিম যেভাবে বিশ্বের মানুষের হৃদয় জিতলেন

bdnews bangla
আফ্রিকা

লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের জরুরি সতর্কবার্তা

bdnews bangla
আফ্রিকা

‘রান্নার চুলা’ থেকে নৌকায় আগুন, ১৪৩ মরদেহ উদ্ধার

bdnews bangla
আফ্রিকা

বন্দুকধারীদের হামলায় নাইজেরিয়ায় নিহত অর্ধশতাধিক

bdnews bangla
আফ্রিকা

১২ ফরাসি কর্মকর্তাকে দু’দিনের মধ্যে আলজেরিয়া ত্যাগের নির্দেশ

bdnews bangla
আফ্রিকা

সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় ২০ শিশুসহ নিহত শতাধিক

Next Post
bdnewes bangla

৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩৪৮৭

Discussion about this post

ফেসবুকে প্রবাস খবর

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানি গোয়েন্দার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, গ্রেপ্তার ভারতীয় নারী ইউটিউবার

পাকিস্তানি গোয়েন্দার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, গ্রেপ্তার ভারতীয় নারী ইউটিউবার

রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিয়ে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিয়ে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

bdnews bangla

বাসরঘর থেকে টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও নববধূ

bdnews bangla

মতিঝিলে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

bdnews bangla

দশ মিনিট আকাশে উড়ল পাইলটবিহীন বিমান, ক্যাপ্টেন ছিলেন বাথরুমে

Load More

❑ আর্কাইভ অনুসন্ধান

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 ১২৩
৪৫৬৭৮৯১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
  • প্রবাস ফোরাম
  • প্রবাস কমিউনিটি
  • প্রবাস হেল্প কর্নার
  • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
  • প্রবাস দূতাবাস
  • প্রবাসে চাকরি
  • ভিসা তথ্য
  • প্রবাস ভাষা
  • মতামত
  • আর্কাইভ
PROBASH KHABOR LIMITED
49/1, ( Ground floor),Islam Tower Road,
Nayapaltan, Dhaka-1000
Mobile -01321890389-WhatsApp Mobile -01329281279

Copyright © 2023 probashkhabor All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
    • প্রবাস অর্থনীতি
    • প্রবাস রাজনীতি
    • প্রবাস দূতাবাস
    • প্রবাস জীবন-যাপন
    • প্রবাস সফলতা
    • প্রবাস জীবনের গল্প
    • প্রবাস কমিউনিটি
    • প্রবাস খেলা
    • প্রবাস বিনোদন
    • প্রবাস সাহিত্য
    • প্রবাস ইতিহাস ও ঐতিহ্য
    • প্রবাস সাক্ষাৎকার
    • প্রবাস শিক্ষা
    • প্রবাস ভ্রমন
    • প্রবাস কণ্ঠ
    • প্রবাস হেল্প কর্নার
    • প্রবাস আলোকচিত্র
    • প্রবাস ভাষা
    • ভিডিও সংবাদ
    • প্রবাস ফোরাম
    • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
    • প্রবাসে চাকরি
    • প্রবাস বিশেষ
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ

Copyright © 2023 probashkhabor All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist