ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঈদুল আজহার আনন্দে যখন ডুবে থাকার কথা ছিল, তখনও নেমে এলো মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের ছায়া। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি। গাজার সিভিল ডিফেন্স ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এই দুঃসংবাদ আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—গাজায় শান্তির পরিবর্তে কী ভয়াবহতা নেমে এসেছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয়েছে গাজা সিটির সাবরা এলাকায়, যেখানে একসঙ্গে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এই ঘটনাকে ‘সম্পূর্ণ গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। আহতের সংখ্যা এখানে প্রায় ৫০ জন।
এর আগের দিন, ঈদের প্রথম দিনেও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৪২ জন ফিলিস্তিনি।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহর কাছে আল-আখাওয়া এলাকায় একটি মানবিক সাহায্যকেন্দ্রের পাশে অপেক্ষমাণ অবস্থায় ইসরাইলি সেনারা গুলি চালায়। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ জন। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরাইলি গুলিতে প্রাণ গেছে ১১৮ জনের।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৭২ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৪ জন।
সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৯৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩০৪ জন।
এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে থাইল্যান্ডের এক নাগরিকের মরদেহ, যিনি গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় অপহৃত হন।
Discussion about this post