সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয় উৎসব ও বাংলাদেশ বইমেলা শুরু হয়েছে। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই আয়োজন তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।
দুবাই কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন করেন অধ্যাপক সৈয়দ ড. মনজুরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি, আমিরাতের কবি ও সাহিত্যিক ইউসুফ আব লুজ।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বইয়ের মাধ্যমে পুরো পৃথিবী জানা হয়ে যায়। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের যখন কোনো বইমেলা হয়, তখন প্রথমে আমার ভালোলাগার বিষয় কাজ করে। দেশের সংস্কৃতিকে যেটি লেখালেখির মাধ্যম অনেক চিন্তাধারায় প্রসারিত হয়। সংস্কৃতির ভেতরে আমাদের দেশের জনজীবনের ইতিহাস থাকে। দুবাইয়ের এই বইমেলা প্রতিবছর হোক, যাতে প্রবাসীরা বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে পারেন।
রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, বইমেলার মাধ্যমে যাদের মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে সেটি বিকশিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বই লেখা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। যাদের মধ্যে উৎসাহ, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা রয়েছে তারাই মূলত লেখালেখি করেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেসব লেখককে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের কর্ম তুলে ধরার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে বই মেলার মাধ্যমে।
বইমেলায় আগত দর্শনার্থীরা বলেন, এটি বইমেলা না, এটি সংস্কৃতি মেলা, আনন্দ উৎসব। তরুণদের যুক্ত করার মিলনমেলা। সংস্কৃতিমনা বাঙালিদের এক আবেদনময় উৎসবের নাম আরব আমিরাত দুবাইয়ের বইমেলা। প্রবাসী বাঙালিদের যুক্ত করাই এর স্বার্থকতা বলে মনে করেন তারা। মেলায় আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও আরব ও ইংরেজি সাহিত্যের বরেণ্য লেখকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার মূলমঞ্চে প্রথম দিনে ৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মেলায় ঢাকা থেকে ৩০টি প্রকাশনী অংশ নিয়েছে। এছাড়া নানান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মোট ৭০টি স্টল স্থান পেয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলা। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাহিত্য বিষয়ক সভা।
Discussion about this post