রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত বুধবার সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, রাজধানীর সব ঈদ জামাতকে ঘিরে সমন্বিত, সুদৃঢ় ও সুবিন্যস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
আজ সোমবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।এসময় আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সমগ্র ঈদগাহ এলাকা ও এর আগমন-বহির্গমন পথসহ চারপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ডিএমপির কন্ট্রোলরুম থেকে সিসি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
তিনটি সড়ক ব্যবহার করে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, শিক্ষা ভবন, মৎস্য ভবন ও প্রেসক্লাবের সামনে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সবাইকে তল্লাশি করে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে, ঈদগাহের মূল গেইটেও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে এবং ভিআইপিদের জন্য ঈমামের পেছনে আলাদা নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশের পোষাকধারী ও সাদা পোষাকের সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো এলাকা সুইপিং করা হবে। যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে।
ঈদ কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপির ১৪ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালনের কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। সেইসঙ্গে, ফাঁকা ঢাকা ও শপিংমলগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশের টহল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এস এম
Discussion about this post