দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের স্টিলফন্টেইন প্রদেশের একটি অব্যবহৃত খনিতে অন্তত ৪ হাজার অবৈধ খনি শ্রমিক আটকা পড়ে আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে স্টিলফন্টেইনের প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
স্টিলফন্টেইনের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র সাবাতা মোকগওয়াবোন জানিয়েছেন, আবহাওয়া পরিষ্কার হলে উদ্ধার তৎপরতা আবার শুরু হবে। গত ২ নভেম্বর এ দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাথমিকভাবে অর্ধশতাধিক শ্রমিক মার্গারেট শ্যাফ্ট নামের খনিটি থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তবে মাটির নিচে এখনো অন্তত চার হাজার শ্রমিক আটকা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে রেখেছি। প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে, ফলে অভিযান আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে।
মোকগওয়াবোন জানান, মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দলের কয়েকজন সদস্য দড়ি ব্যবহার করে খনির ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা কয়েক হাজার খনি শ্রমিক এবং বেশ কয়েকজনের লাশ দেখতে পান। আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের খাবার ও পানীয় জল সরবরাহ করেন তারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও উপস্থিত রয়েছেন।
খনিটি থেকে বের হয়ে আসা ৫৫ জন শ্রমিকদের সবাই অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে দেশটিতে আছে জানিয়ে মোকগওয়াবোন বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও অবৈধ খনি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোনার লোভে দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিম, গাউটেং ও ফ্রি স্টেটের মতো প্রদেশগুলোতে অব্যবহৃত ও বন্ধ সোনার খনিতে অবৈধভাবে খোঁড়াখুঁড়ি অব্যাহত রেখেছে অনেকে। এদের বেশিরভাগই লেসোথো ও জিম্বাবুয়ের নাগরিক। অবৈধ খনি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা কয়েক হাজার লোককে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার খাদ থেকে একটি গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা সোনার খনির কাছে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছে।
এম এইচ/
Discussion about this post