বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের ওসমান গণির মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ১ মাসের মাথায় তার মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত (সদর) বিচারকের নির্দেশে কবর থেকে শহীদ ওসমান গণির মরদেহ তোলা হয়।
এ সময় রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আরমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে শহরে গুলিতে নিহত হন ওসমান গণি। ওই দিনই রায়পুর উপজেলার বাসাবাড়ি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল সদর আদালতের নির্দেশে রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমানের উপস্থিতিতে ওসমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সহকারী কমিশনারের তত্ত্ববধানেই ফের মরদেহ দাফন করা হবে।
সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে চার শিক্ষার্থী নিহত হন। তারমধ্যে ওসমান-সাব্বির হত্যার ঘটনায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ১৪ আগস্ট নিহত সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় সম্মিলিত এজাহার দায়ের করেন।
এস আই/
Discussion about this post