কোটা আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়ার পর ১৯ থেকে ২৩ জুলাই বন্ধ থাকে ব্যাংকিং কাযর্ক্রম। গত বুধবার (২৪ জুলাই) সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট ও ব্যাংক চালু হলেও আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন করতে পারেনি বেশিরভাগ ব্যাংক। এতে জরিমানা গোনার শঙ্কায় পড়েন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো পেমেন্ট করে দিয়েছে; কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট ডেলিভারি হয়নি। এতে বেশ কিছু দিনের জন্য অতিরিক্ত সুদের চাপে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
ব্যাংকগুলো বলছে, দীর্ঘমেয়াদে অচলাবস্থা তৈরি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোনো পেমেন্টে গুনতে হয়নি জরিমানা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ম্যানেজার মো. বদিউল আলম বাদল বলেন, ‘এলসি বেনিফিশিয়ারি ব্যাংকে আমরা ইনফর্ম করে দেই। তখন একটিভেশনের আগ পর্যন্ত পেমেন্ট ডিউ হয় না।’
সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ম্যানেজার মো. লুৎফর রহমান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
এবার এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে না হলেও কোনো কারণে দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক লেনদেন বন্ধ থাকলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট প্রতিদিনের কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন। এটা বন্ধ করে কিছু করা যাবে না। সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে ভাবমূর্তির সংকটের বিষয়টা।
ব্যাংকগুলো জানায়, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী পণ্যের এলসি ডকুমেন্ট পাওয়ার ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় আমদানি বিল। তবে দেশে ইন্টারনেট বন্ধের টানা পাঁচ দিনের মধ্যে দুদিন ছিল সরকারি ছুটি। ফলে বাকি তিন দিন লেনদেন বন্ধ থাকলেও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি বিল পরিশোধে।
এ এ/
Discussion about this post