শুক্রবার ২৬ (এপ্রিল) ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ দফায় ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে তিনটি আসনে।
ভারতের সাত দফার লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। তৃতীয় ধাপের ভোট হবে ৭ মে।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম ধাপে ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোট হয়। দ্বিতীয় ধাপের এই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি প্রার্থী। তাদের মধ্যে মণিপুরের ৪ প্রার্থী রয়েছেন। পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে যথাক্রমে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন।
আর ৪ জুন নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় ধাপে উত্তরপ্রদেশের আসনগুলোতে বিজেপির অগ্নিপরীক্ষা হতে পারে।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিলো অপেক্ষাকৃত কম, ভোট পড়ে ৬৩ শতাংশ। এবার দ্বিতীয় ধাপেও ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বৃষ্টি, বন্যা, তীব্র তাপদাহসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আরও পরুনঃ বন্যা ও ভূমিধসে তানজানিয়ায় ১৫৫ জন নিহত
এসব আসনে ইন্ডিয়া জোটের সমাজবাদী পার্টি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ভোটের জন্য প্রচারাভিযান শেষ হয় ২৫ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায়। এ ধাপে মণিপুর ও কেরালার ২০টি আসনের সব ক’টি, কর্ণাটকে ১৪, রাজস্থানে ১৩ আসনে ভোট হবে।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে আটটি, মধ্যপ্রদেশে সাতটি, আসাম ও বিহারে পাঁচটি করে, পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ে তিনটি করে এবং ত্রিপুরা ও জম্মু-কাশ্মীরে একটি করে আসনে ভোট হবে। কেরালার ২০ আসনে লড়ছেন ২৫ নারীসহ ১৯৪ প্রার্থী।
ওয়ানাড় আসন থেকে টানা দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল গান্ধি। এবার সাত ধাপে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিং ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে ৯৬ কোটি ৯০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার ভোট দেবেন।
এ এ/
Discussion about this post