গাইবান্ধায় বাথরুমের ওপর দিয়ে নারীর গোসলের দৃশ্য গোপনে মোবাইলে ধারণ করার সময় এক পুলিশ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করছেন এলাকাবাসী।
আজ শনিবার বিকেলে শহরের দক্ষিণ ধানগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক পুলিশ সদস্যের নাম মো. শাহ আলম। তাঁর পুলিশ আইডি (বিপি ৮৩০২০৮২৫৭১)। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট জেলার বানভাসা গ্রামে। বর্তমানে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে কর্মরত বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাইবান্ধা পৌর শহরের দক্ষিণ ধানগড়া এলাকায় বাড়ির বাথরুমে গোসল করছিলেন ওই বাড়ির এক নারী। এ সময় বাথরুমের ওপর দিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ওই নারীর গোসলের দৃশ্য ধারণ করছিলেন মো. শাহ আলম। নারীর গোসলের ভিডিও করার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শাহ আলমকে আটক করেন। পরে গাইবান্ধা সদর থানা-পুলিশ খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। একজন অপরিচিত লোক ওই বাড়ির ছাদ ছাড়া বাথরুমের ওপর দিয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। আমি চিৎকার দিলে শাহ আলম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে।
ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমি বাইরে কাজে গিয়েছিলাম। এসে দেখি লোকজন দিয়ে বাড়ি ভর্তি। বিস্তারিত এঘটনা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। একজন রক্ষক এভাবে ভক্ষক হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের লোককে নিয়ে গেল।’
এভাবে হাতেনাতে ধরার পরও অভিযোগ দেওয়া ছাড়া পুলিশ ব্যবস্থা নেবে না, বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে।
আটক পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করতে আসা গাইবান্ধা সদর থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আটককৃতকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর থানায় নিয়ে যাচ্ছি। তদন্ত করে দেখব, ওনি আসলেই পুলিশ সদস্য কিনা? ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহ আলম পুলিশ সদস্য কি না নিশ্চিত হতে গাইবান্ধা সদর থানার ওসির সরকারি মোবাইলে ফোন দিলে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেরাজুল ইসলাম ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘ওসি সাহেব ছুটিতে আছেন।’ শাহ আলম পুলিশ সদস্য কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
জানতে গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ করেননি।
টিবি
Discussion about this post