বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) নিয়ে এবার ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেয়া তথ্যের বিপরীতে যা ৯ বিলিয়ন ডলার কম। এদিকে গত বছরও বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর বরাবরের মতোই শীর্ষ রফতানিকারকের স্থান ধরে রেখেছে চীন।
তৈরি পোশাক বা আরএমজি রফতানিতে ২০২৩ সালেও বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিইটিও’র ওয়াল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩: কি ইনসাইটস অ্যান্ড ট্রেন্ডস শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, তৈরি পোশাক রফতানিতে বরাবরের মতোই শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন।
বর্তমানে বিশ্ববাজারে দেশটির আধিপত্য ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। এর পরেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৪ শতাংশ আর তৃতীয় স্থানে থাকা ভিয়েতনামের অবস্থান প্রায় ৬ শতাংশ।
গত জুলাইয়ের শুরুতে দেশের আরএমজি রফতানির তথ্যে গরমিল করেছে ইপিবি। বিষয়টি সামনে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। ধারাবাহিকভাবে এবার ডব্লিউটিও ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির যে পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে, তা ইপিবির চেয়ে নয় বিলিয়ন ডলার কম।
যদিও ইপিবির তথ্য, একই সময় বাংলাদেশ আরএমজি খাতে রফতানি করেছে প্রায় সাড়ে ৪৭ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ রফতানি করেছে প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক।
সংস্থাটি বলছে, ২০২২ সালে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ, বছর ব্যবধানে রফতানি কমেছে ৭ বিলিয়ন ডলার।
গত বছর বিশ্বের শীর্ষ তৈরি পোশাক রফতানিকারক চীন ১৬৫ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। আর একক দেশ হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রফতানিকারক ভিয়েতনাম ৩১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা তুরস্ক ও ভারত রফতানি করেছে যথাক্রমে ১৯ বিলিয়ন ডলার ও ১৫ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক।
এ এ/
Discussion about this post