বিশ্ব হাতি দিবস আজ। ২০১২ সাল থেকে ১২ আগস্ট দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এই জীবজগতের বৃহত্তম স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী হল হাতি।
কানাডার দুই চলচ্চিত্র নির্মাতা প্যাট্রিসিয়া সিমস, মাইকেল ক্লার্ক এবং থাইল্যান্ডের রিইন্ট্রোডাকশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মূলত বিশ্ব হাতি দিবস পালন করা সম্ভব হয়েছে।
এই দিবস উৎসর্গ করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের হাতির সুরক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য।বিশেষ করে আফ্রিকান এবং এশীয় হাতিদের জরুরী দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা । একই সাথে বন্দী বা বন্য হাতিদের, ভালো যত্ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য জ্ঞান এবং ইতিবাচক সমাধানগুলি প্রচার করা।
এইবারের হাতি দিবসের প্রতিপাদ্য “ Personifying prehistoric beauty, theological relevance, and environmental importance”।
গত একযুগে সারা বিশ্ব থেকে হাতি কমেছে ৬২ ভাগ। নগরায়ণ এবং বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণেই হাতির জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বছর যে হারে হাতি কমছে. তাতে আগামীতে চিড়িয়াখানা ছাড়া আর কোথাও এই প্রাণীর অস্তিত্ব থাকবে না।
২০১৫ সালে বন মন্ত্রণালয় তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, যে বাংলাদেশের বনাঞ্চলে ২৮৬টি এবং চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে আরও ৯৬টি হাতি রয়েছে। সংস্থাটির ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুসারে, এ সংখ্যা কমে সে বছর বাংলাদেশে হাতির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬৮টিতে। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে হাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০টিরও কম।
দেশের বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০০৪ থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গত ১৭ বছরে মানুষের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে ১১৮টি হাতি । এদিকে বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০২১-২২ সালে বিভিন্ন ঘটনায় ৩৪টি হাতি মারা গেছে। যদিও বন বিভাগের রেকর্ডে এ সংখ্যা মাত্র ১৬টি। অপরদিকে গত পাঁচ বছরে সারা দেশে কমপক্ষে ৫০টি হাতি হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলো।
অন্য দিকে বিশ্ববাজারে এ প্রাণীর চাহিদা সবচাইতে বেশি। বাড়ি, অফিস সাজাতে, কেউ বা শখ করে সংরক্ষন করেন হাতির দাঁত সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ । এ বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, হাতি নিধন ও চোরাশিকার কমাতে না পারলে হাতি ডাইনোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এজন্য হাতি সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরী।আর এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতেই হাতির দিবসের প্রচলন।
এ এ/
Discussion about this post