আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’কে দাওয়াত করে আনা হয়নি। তিনি নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন। তাকে নিয়ে এত মাতামাতি কেন? কোনো ভিসা নীতি, নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লু’কে বিএনপি উপরে উপরে পাত্তা না দিলেও তলে তলে আবার কি করে কে জানে!
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পণ্য বয়কটে জোর আন্দোলন ব্যর্থ চেষ্টা। বিএনপি’র কোনো নেতাই ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে না। কিছুদিন আগে টেস্ট কেস দেখলাম। এটা কি সম্ভব! ভারতীয় মসলা ছাড়া কি চলে! শাড়িসহ আরও অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আছে আনতে হয়। আমার মনে হয় এটা বিএনপি’র উদ্ভট চিন্তা, ব্যর্থ চেষ্টা। আসলে সব হারিয়ে বিএনপি এখন খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়। তাদের কোনো ইস্যু নেই। এখন ভারতীয় পণ্যকে ইস্যু করে নিয়েছে। বাংলাদেশের কাছে এটা নন ইস্যু।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। সম্প্রতি ঢাকায় তাদের দুটি সমাবেশও ব্যর্থ হয়েছে। তাদের কর্মীরা হতাশ, নেতাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তব সম্মত নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নজির নেই। প্রতিবেশী দেশে ৫ শতাংশ পর্যন্ত নজির আছে। বাংলাদেশে এর যৌক্তিকতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
ঢাকায় গণপরিবহনে লক্কড় ঝক্কর বাস অপসারণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, চলাচলে অযোগ্য লক্কড় ঝক্কড় বাসগুলো ডাম্পিং করা হবে। তবে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে যেগুলো একরকম চলে সেগুলো এখনই ডাম্পিং নয়।
ইলেকট্রিক বাস আমদানি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইলেকট্রিক বাসের কথা আমরা বিবেচনা করছি। ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আগ্রহ আছে সরকারের।
এ এস/
Discussion about this post