রাঙামাটির লংগদুতে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গ্রুপকে দায়ী করছে ইউপিডিএফ।
শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের মনপতি বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ সদস্যের তিনক চাকমা (৫০) ও দুদকছড়া গ্রামের জুরেন্দ্র চাকমার ছেলে ধন্যমতি চাকমা (৪০)।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদু ইউনিয়নের মনপতি, ধনপতি, মধ্য খাড়িকাটা ও খাড়িকাটা এলাকায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান নেয়। পরে লংগদু উপজেলার কাট্টলী এলাকায় ১০-১২ জনের একটি দল মনপতি ও মধ্যখাড়িকাটা এলাকায় এসে ইউপিডিএফের সদস্যের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আরও পড়ুনঃ ২৭ হাজার হজযাত্রী পৌঁছেছেন সৌদি আরবে
রাঙামাটি জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (বাঘাইছড়ি-লংগদু) সার্কেল আবদুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকাটি অনেক দুর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ। ইউপিডিএফ বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করেছেন। তার নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তারা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।
তবে ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কন্দোলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
এ এ/
Discussion about this post