সুদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ রয়েছে, গৃহযুদ্ধের সময় আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল সুদানের সেনাবাহিনী। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, সুদান সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। তবে গৃহযুদ্ধের সময় গত বছর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে সুদানের সেনা। সেই কারণে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা আগামী মাসের ৬ তারিখ থেকে বলবৎ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো জিনিস সুদানে পাঠানো হবে না। এ ছাড়াও সুদানকে কোনো ঋণ দেবে না ওয়াশিংটন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সুদানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধা সামরিক বাহিনীর ওপর কমপক্ষে দু’বার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল সুদানের সেনা বাহিনী। তবে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন সেনাকে উদ্ধৃত করে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছিল, ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। এই গ্যাস ব্যবহারের ফলে তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এস এইচ/
Discussion about this post