ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় গিয়ে পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শিলাস্তি রহমান নামে এক নারী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনের বি ইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে যেখানে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়, সেখানে অবস্থান করছিলেন শিলাস্তি রহমান। ১৫ মে হত্যা মিশন ঘটিয়ে মূল কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে দেশে ফেরেন তিনি। ওই নারীকে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। ১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। শাহীন এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এই নারীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কারণ, সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতা। তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন।’
আরও পড়ুনঃ বাড্ডায় বোমা কারখানার সন্ধান, বাড়ি ঘিরে রেখেছে র্যাব
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় শিলাস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। এরপর লাশ গুমে সহায়তা করেন। আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি মিলেই এমপি আনারের টুকরো করা মরদেহের একটি ট্রলি নিয়ে প্রথমে বের হয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে।’
এদিকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে চল্লিশ বিঘা জমির ওপর এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের একটি রিসোর্ট আছে। তিনি আমেরিকা প্রবাসী ও কোটচাদপুর মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই। প্রতিবছর তিনি দেশে ৬ মাস অবস্থান করেন। শাহিন এমপি আনারের বাল্যবন্ধু এবং ব্যবসায়িক পার্টনার।
স্থানীয়রা জানান, রিসোর্টের ভিতরে সুইমিং পুল, চা বাগান, গরু-ছাগলের ফার্ম, জার্মান শেফার্ড, গলফ কোর্স ও বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে। আছে কঠোর নিরাপত্তা, সিসি ক্যামরাসহ তারকাটা বেষ্টনি। শাহীন দেশে অবস্থানকালে এই রিসোর্টে সুন্দরী নারীদের আনাগোনা দেখা যায়। এসময় রিসোর্টে ভিআইপি ও ভিভিআইপিরা সময় কাটাতে আসেন। এই রিসোর্টে সাধারণ মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এ এ/
Discussion about this post