সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করার অনুমতি পেলেন ৯ আইনজীবী। এই অনুমতির পর বাদীর ব্যক্তিগত খরচে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীর এই মামলা পরিচালনায় আর কোনো বাঁধা থাকল না।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) মামলার বাদী মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলী রোমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একই আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতার জন্য ৯ আইনজীবীকে নিয়োগের আবেদন করেন বাদী। শুনানি শেষে আদালত বাদীর উপস্থিতিতে এ বিষয় শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন।
শিশির মনির ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন– অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন ও মোত্তাকিন হোসাইন।
আবেদনে বলা হয়, মামলার ভুক্তভোগী সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনিকে অজ্ঞাত আসামিরা ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় হত্যা করে। দীর্ঘ ১২ বছর মামলাটির তদন্ত চলমান থাকলেও কোনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।
আবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ দিন পার হওয়ার পরও মামলায় কোনও ধরনের অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদী পক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আবশ্যক।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অন্য আসামিরা হলেন– বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে এ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে ছয় মাস বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ইউ/
Discussion about this post