কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসন পথ হিসেবে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ বলেছে, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যারা মারা গেছে তাদের ১২% বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন ।
ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার (৭ মে) আইওএম-এর ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন প্রতিবেদন ২০২৪ উন্মোচনকালে পোপ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন। ২০২৪ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যারা মারা গেছে তাদের ১২% বাংলাদেশের নাগরিক। তবে, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক হিসাব দিতে পারেননি।
আরও পড়ুনঃ অ্যাসট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর
মে মাসের শুরুর দিকে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির পরিবার তাদের প্রিয়জনের মরদেহ পেয়েছে। জুওয়ারাহ উপকূল থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ৫২ জন যাত্রী ও একজন নাবিক নিয়ে নৌকাটি ১৪ ফেব্রুয়ারি ডুবে যায়।জীবিতদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক, অন্যরা পাকিস্তান (৮), সিরিয়া (৫) এবং মিশর (৪) নাগরিক। এতে নয়জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে আটজন বাংলাদেশি ও একজন পাকিস্তানি বলে চিহ্নিত হয়েছে।
আইওএম প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর আফ্রিকা হাজার হাজার অভিবাসীদের জন্য একটি প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। যারা প্রাথমিকভাবে পশ্চিম ও মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথ ধরে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করে। লিবিয়ার মতো দেশগুলোতে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রুট ব্যাপক চোরাচালান ও পাচারের নেটওয়ার্কে সমৃদ্ধ হয়েছে।
আইওএম বলছে, কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসন পথ হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৪-২০২২ সালের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছে। ২০১৪-২০২৩ এর শেষ পর্যন্ত আইওএম এর নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্পের মধ্যে অভিবাসন রুটে ৬৩ হাজারের বেশি মৃত্যু ও নিখোঁজের তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন বছরের পর বছর ভূমধ্যসাগর, আফ্রিকা ও এশিয়া জুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে অভিবাসনের কারণে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও তা ঠেকানো যাচ্ছে না বলে।
এ এ/
Discussion about this post