ইউরোপে আসার পর ৫০ হাজারের বেশি অভিভাবকহীন শিশু অভিবাসী নিখোঁজ হয়। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইউরোপিয়ান জার্নালিজম প্রকল্পের একটি সমীক্ষায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।
‘লস্ট ইন ইউরোপ প্রজেক্ট’ এর তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৮৯৯ নিবন্ধিত শিশু নিখোঁজ রয়েছে। অস্ট্রিয়ায় ২০ হাজার ৭৭, বেলজিয়ামে ২ হাজার ২৪১, জার্মানি ২ হাজার ৫ এবং সুইজারল্যান্ডে এক হাজার ২২৬ নিবন্ধিত শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
২০২১- ২৩ এই তিন বছর ইউরোপের ১৩টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে নিখোঁজ শিশুদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। তবে তারা জানিয়েছেন এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক ইউরোপীয় দেশ নিখোঁজ অপ্রাপ্তবয়স্কদের তথ্য সংগ্রহ করে না। তাই সেই সব দেশ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা অনেকটা অসম্পূর্ণ।
বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, এমন বেদনাদায়ক ফলাফল সমস্যাটির ভয়াবহতাকে সামনে নিয়ে এসেছে যেখানে হাজারো শিশু নিখোঁজ এবং তাদের অবস্থান কারও জানা নেই। মিসিং চিলড্রেন ইউরোপ-এর প্রধান অগজে লিভেন বলেন, ‘এমন অসহায় ও অভিভাবকহীন শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যাটি বিশাল আইসবার্গের একটি ছোট্ট অংশ।’
এর আগে, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। আবেদনকারীদের বেশিরভাগই সিরিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা এবং কলম্বিয়ার নাগরিক। একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন জমা পড়ে জার্মানিতে। গত বছরের জুলাইতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় বিষয়ক সংস্থা (ইইউএএ) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০২২ সালে মোট নয় লাখ ৯৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় অন্তত ৫৩ শতাংশ বেশি। আশ্রয় চেয়ে আবেদন করা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪২ হাজার অভিভাবকহীন শিশু রয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০১৬ সালের অভিবাসন বিপর্যয়ের পর সর্বোচ্চ।
এ এস/
Discussion about this post