বিদেশ যাত্রায় সনদ সত্যায়নের ভোগান্তি কমছে বাংলাদেশে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর ১২৬টি দেশে যেতে সনদ সত্যায়নের যে জটিলতা ছিলো সেটা কাটাতে একটি কনভেনশনের আওতায় যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অ্যাপোস্টাইল কনভেনশন-১৯৬১ এ বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার বিষয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। এই কনভেনশনের সদস্য ১২৬টি দেশ।
সাধারণত বিদেশে যাওয়ার সময় শিক্ষা সনদ, বৈবাহিক সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় সনদগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন বা সত্যায়ন করে নিতে হয়। ঢাকায় যেসব দেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশের ক্ষেত্রে কাছাকাছি কোনো দেশে থাকা দূতাবাসে গিয়ে এই ভেরিফিকেশনের কাজটি সারতে হয়। ফলে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এখন এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করা হলে ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফিকেশনই যথেষ্ট হবে। ফলে বিদেশ যাওয়ায় আর এধরনের জটিলতা আসবে না এবং বিদেশ যাওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম আরো সহজ হয়ে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের ছাত্ররা বা কোনও ব্যক্তি যখন বিদেশে যান তখন অনেক ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করতে হয়। শিক্ষাসংক্রান্ত সনদ হলে প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হয়। এরপর যে দেশে যাবে সেই দেশের দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হয়, এরপর তা ওই দেশে কার্যকর হয় যা অনেক ভোগান্তির সৃষ্টি করে। এই কনভেনশনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে এসব জটিলতা কেটে যাবে। এখন নিজে দেশে বসেই বিদেশ যাওয়ার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিসভা খুবই ইতিবাচকভাবে এটি গ্রহণ করেছে। এতে ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখন যে ভোগান্তি হয় সেটি আর হবে না এবং ব্যয় সাশ্রয় হবে।
Discussion about this post