সৌদি আরবে গ্রেফতার আট প্রবাসীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনরা। গ্রেফতার আটজনকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন গ্রেফতার ব্যক্তিদের স্ত্রী, মা, সন্তান, স্বজনসহ বেশ কিছু প্রবাসী।
১৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন সৌদি আরবের আবহা ও মাহাইল প্রবাসীরা। ‘আইন অমান্যের’ অভিযোগে আট বাংলাদেশি প্রবাসীকে ধরে নিয়ে যায় সৌদি পুলিশ। তারা সবাই চট্টগ্রামের।
গ্রেপ্তার আট প্রবাসী হলেন বাঁশখালীর জয়নুল আবেদীন, রহমত উল্লাহ, খলিলুর রহমান ও ওমর ফারুক, সাতকানিয়ার সামিউল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ, সেলিম উল ইসলাম ও বান্দরবানের মো. আশরাফুল ইসলাম।
তাদের স্বজনেরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গ্রেপ্তার প্রবাসী জয়নুল আবেদীনের মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত জেসি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। তিনিই আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এখন তিনি ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আর আহতদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সৌদি আরবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ অনেক দিন বাবার কোনো খবর পাচ্ছি না।’
বাবার মুক্তির দাবিতে পাঁচ বছরের রুকাইয়া তাসনিম জারিফাও দাঁড়িয়েছিল অন্যদের সঙ্গে। রুকাইয়ার একটাই কথা, ‘আমি বাবার মুক্তি চাই, বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
মানববন্ধনে গ্রেপ্তার প্রবাসীর স্বজনরা বলে, গ্রেপ্তার প্রবাসীরা আমাদের কারও ভাই, কারও স্বামী, কারও বাবা। প্রবাসে থেকে তারা সর্বাত্মকভাব ফ্যাসিবাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে সমর্থন দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার ডাকে সাড়া দিয়ে তারা সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখেছিলেন। ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর তারা আবারও রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে শুরু করেন।
স্বজনরা আরও বলে, আমরা পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয়স্বজন আর্থিকভাবে প্রবাসী সদস্যদের ওপর নির্ভরশীল। পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্যের গ্রেপ্তারের ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের আকুল আবেদন, আমাদের স্বজনদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন।
এস আই/
Discussion about this post