ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির বার্তাটি এসেছে পাকিস্তানি নম্বর থেকে। শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবিপিএন সূত্রে তা জানা গেছে।
বিমানবন্দর এপিবিএন এর দায়িত্বরত কর্মকর্তার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে হুমকির বার্তাটি আসে। ওই বার্তায় বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। বার্তাটি সতর্কতা হিসেবে জানানোর জন্য দেয়া হয়েছে, এটি কোনো হুমকি নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
বার্তাটি পাওয়ার পর ওই নম্বরে ফোন করা হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। তবে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং চালিয়ে যায়। কারা বিস্ফোরক রেখেছে, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ে এমন প্রশ্ন করা হলে বলা হয়, কোনো বিরোধী পক্ষ আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আনার জন্য করতে পারে।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়া ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণের পর উড়োজাহাজটিতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা বা বোমা সদৃশ কিছুই পাওয়া যায়নি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২-এ বিকেল চারটায় এ বিষয়ে ব্রিফ করবে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফ্লাইটটিতে বোমা হামলার হুমকির বার্তা আসে। এরপর বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করে। এ সময় বিমানবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যাত্রীদের নামিয়ে আনেন। তবে তখন তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজ প্লেনেই থাকে।
সাড়ে দশটার দিকে উড়োজাহাজের মধ্যে প্রবেশ করেন বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। সেখানে সিট, করিডোর, টয়লেট, ক্যাফে, হ্যান্ড ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে বোমা হামলার মতো কিছুই মেলেনি।
তল্লাশি চলাকালে ফ্লাইটটির যাত্রীদের টার্মিনাল ভবনে রাখা হয়। কাউকে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে দেয়া হয়নি। জানানো হয়, উড়োজাহাজটি পুরোপুরি নিরাপদ ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা টার্মিনাল ভবনেই থাকবেন।
রোম থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজটিতে ২৫০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিলেন। ফ্লাইটটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল।
এ ইউ/
Discussion about this post