ইরানের মোকাবিলায় ক্রমেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটি ইরানের হামলা ঠেকাতে খুব দ্রুতই প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে পড়তে যাচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শক্তি ফুরিয়ে যেতে পারে।
বুধবার (১৮ জুন) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে মার্কিন ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ইরানের বর্তমান হামলার হারে ইসরায়েল তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারবে। এরপর তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্রভাণ্ডার পুনরায় পূরণ বা যুদ্ধে আরও সরাসরি সহায়তার প্রয়োজন হবে।
সূত্রটি জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শেষের দিকেই ইসরায়েলকে কোন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকাতে চায় তা নির্বাচন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত চাপের মুখে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র খোলা এলাকায় পড়তে দিচ্ছে। যেসব ক্ষেপণাস্ত্র জনবসতিহীন স্থানে আঘাত হানবে সেগুলো তারা ছেড়ে দিচ্ছে। বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে জনবহুল এলাকা বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছে, তারা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ও সক্ষম। তবে অস্ত্র-সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করে ইসরায়েল।
এর আগে মার্কিন এক কর্মকর্তা ইরানের সঙ্গে টানা চার দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল দ্রুতগতিতে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মজুদ ক্রমশ কমছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু মহলে উদ্বেগ রয়েছে যে ইরানের ওপর সরাসরি মার্কিন হামলা হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও বড় পাল্টা হামলা হতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের মজুত ‘ভয়ানক’ মাত্রায় হ্রাস পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ওই কর্মকর্তা।
এস এইচ/
Discussion about this post