১৯ জুলাই; যাত্রাবাড়ী এলাকা তখন রণক্ষেত্র। কাজলায় ছাত্রজনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সেদিন সন্ধ্যায়ই মৃত্যুবরণ করেন সরকারি তোলারাম কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে ৩.১৭ পেয়েছেন তিনি। তিনি সাতটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
আজ ফলাফল প্রকাশের পর পান্থের বড় ভাই মেরাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় সমকালের। এ সময় তিনি প্রথমদিকে মারা যাওয়ার পরও এতদিনেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকায় পান্থের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কথা জানিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
মেরাজ উদ্দিন বলেন, একটা আক্ষেপের জায়গা আছে। সেটা হচ্ছে যারা নাগরিক কমিটিতে আছেন বা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে আছেন—যতকিছুই আছে। আজকে কতদিন হয়ে গেছে, আমার ভাই ১৯ জুলাইয়ের শহীদ, প্রথম দিকে। তার নামটা এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকায় নেই। আমার মনে হয় তাদেরকে অথোরিটি দেওয়া দরকার, টিম বড় করে কাজ করা দরকার। যারা করতেছে তারা অ্যাক্টিভভাবে এমনভাবে করুক।
তিনি বলেন, পান্থ ৩.১৭ পেয়েছে। এখন এগুলো বলার ভাষা নেই।
মেরাজ বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও কেউ আসেনি। তবে নাগরিক কমিটি অনুষ্ঠান করছিল সেখানে গিয়েছিলাম। তারা ভাব নিচ্ছে অনেককিছু করতেছে কিন্তু আমার ভাইয়ের নামটা এখনও নেই। এত কাজ করতেছে তারা। সরকারকে দোষ দিচ্ছি না আমি, যারা অথরিটি তাদেরকে বলা।
তবে দুই মাস পর সরকারের ভূমিকায় সন্তোষ জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের পরিস্থিতি সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা। তারা কাজ করে যাচ্ছে। যারা এতদিন ছিল রেজিমে, তারা তো কম ক্ষমতাবান ছিল না। যেখানে সরকার কাজ করতে যায়, সেখানে বাঁধার সম্মুখীন হয়। অনেকে দেশ ছেড়ে যেতে পারছে, তাদেরকে আটকে রাখতে পারেনি। নিত্যপণ্যের দাম বেশি তবে বন্যার কারণে ফসল তোলা যায়নি এটা কেউ বলছে না। সরকার চাইলেও অনেক কিছু করতে পারে না।
সুত্রঃসমকাল
এম এইচ/
Discussion about this post